আজ আমার বাসর রাত - রেদুয়ান হাসান

Image source

আজ আমার বাসর রাত আমার রুমে বসে আছে মেয়েটি, মেয়েটার নাম সেহেলী মেয়েটা যখন অষ্টম শ্রেনীতে পড়ত তখন থেকেই আমি চিনতাম এবং তাকে প্রোপোজ ও করে ছিলাম কিন্তু মেয়েটি রাজি হইছিল না আমাকে চলে যেতে বল্ল । আমি চলে আসলাম মেয়েটির সাথে আরার সব সময়ই দেখা হতো কিন্তু কথা বলতো না মাঝে মধ্য তাকাতো আমি তাকে খুব ভালোবাসতাম তাকে তখন অনেক মিস করতাম কিন্তু কিছুই বলতাম না বহুুদিন হয়ে গেল এভাবেই চলতে লাগল .....হঠাৎ করেই আমার একটি মেয়ের সাথে বিয়ে ঠিক হয়, মেয়েটির নাম ছিলো সেহেলীই আমি জানতাম ওর সাথে আমার বিয়ে ।আমি অনেক না করেছি কিন্তু রাজি হয় নায় কেও । তা বিয়েটা হয়েই গেল । বাসর ঘরে ধুকতে ইচ্ছে করছে না । তবুও সবার চাপে গেলাম ঘরে। ঘরে গিয়ে কি বল্বো বুঝতে পারলাম না সেহেলি এসেই আমাকে সলাম করে বিছানায় গিয়ে বসল আমি তার কাছে গেলাম গিয়ে বল্লাম কি ওপরাধ ছিলো আমায় এভাবে কষ্ট দিলে । সেহেলি বল্ল আমি অন্য কাওকে ভালোবাসতাম
আমি তাহলে এখন কি করবে সেহেলী জানি না
আমি তুমি উপরে ঘুমিয়ে পরো আমি সোফায় শুয়ে পরছি এই বলে আমি সোফায় শুয়ে পরলাম সকালে ঘুম থেকে উঠলাম দেখি সেহেলী ঘুমিয়ে আছে আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম পরে সেহেলিও ঘুম থেকে উুঠে ফ্রেশ হয়ে নিল আমাদের দুইজনকেই খারার জন্য দাক দিল গিয়ে খেয়ে নিলাম খাবার টেবিলে বেশি কথা বল্লাম না । খাবার খেয়ে উথে চলে আসলাম । সেহেলী ও আসলো কিছুক্ষন পর । এসেই চুপচাপ বসে রইলো কিছুই বল্ল না দেখে আমিও কিছু বল্লাম না পরে উঠে চলে গেল....
আমি আমার মতই রইলাম আমি ওর সাথে দরকার ছাড়া কোন কথা বলিনা এভাবেই চলে গেল তিন মাস । একদিন ছাদে বসে আসি এমন সময় সেহেলী আসলো । এসে আমার পাশেই বসল । এবং বল্ল তোমাকে কিছু কথা বলতে চাই আমি বল্লাম বলো
আচ্ছা তুমি আমার সাথে ঠিক ভাবে কথা বলো না আমাদের তিন মাস বিয়ে হয়েছে তুমি আমার হাতটা পর্যন্ত ধরোনি তুমি কি আমায় ভালোবাসো না
ভালোবাসি কি না জানি না তোমার সাথে কথা বলতে তেমন ইচ্ছা করে না তা বলি । তোমার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে তিন মাস তুমি একটি বারো আমার সাথে দরকার ছাড়া কথা বলো নি। তুমি তো বিয়ের আগেও আমায় ভালোবাসতে এখন এমন কি হলো যে আমায় ভালোবাসা যায় না 

আমি : তোমায় ভালেবাসতাম ঠিকই কিন্ত তুমি আমায় ভালোবাসনা বলেই দিয়েছিলে
তার পরে আমি যে কতটা কষ্টে ছিলাম একটি বারো আমার খোজ নেওনি, তোমার সাথে তো আমার সব সমই দেখা হতো
সেহেলী : দেখো এর জন্য আমি সত্যি অনেক দুঃখিত প্লিজ আমায় ক্ষমা করে দেও
আমি : আমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার কোনো দরকার নাই , আমি তোমার কেওই হইনা । শুধু বাবামার মুখের দিকে চেয়ে তোমাকে বিয়ে করেছি
সেহেলী : তুমি আমার স্বামী আমার উপর তোমার সম্পূর্ন অধিকার আছে
আমি : তা আছে তবে কিছুটা ,আর আমি জোর করে কিছু নিতে চাই না....কারন জোর করে ভালোবাসা পাওয়া যায় না এই বলে উঠে যাব ঠিক সেই সময়ই সেহেলী আমার হাত ধরে ফেল্লো এবং বল্লো কাওকে ভালোবেসে ফেলছি যে আমার কি হবে
আমি : তোমার আর কি হবে কিছুই না ।
সেহেলী : বুঝহার চেষ্টা করো, আমি সত্যিই বলছি, এই কয় দিনে আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলছি
আমি : তো আমি কি করব
সেহেলী : এবার আমায় জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো এবং কান্না করতে করতে বল্ল আমায় একা রেখে যেওনা আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি । তোমাকে ছাড়া বাচঁব না আমি আমি জানি তুমিও আমাকে ভালোবাসো । সেদিন তোমায় না বলে দিয়েছি বলে আজ প্রোতিশোধ নিচ্ছো
আমি তখন ওকে কিছুই বলতে পারছিলাম না ও এতটাই কান্নায় ভেঙ্গে পরেছে যে আমি এতো দিনের অভীমান গুলোও এক নিমিশেই ভুলো গেছি । মেয়েরা যে এতো কান্না কোথা থেকে আসে মেয়েরাই ভালো জানে । সেহেলী প্লিজ আমায় এভাবে কষ্ট দিওনা । আমি এই কদিনে অনেক কষ্ট করেছি । তবু ও আমি তোমাকে কিছুই বলতে পারি নাই। আমায় আর কষ্ট দিওনা ।
আমি : তাহলে বুঝলে কষ্ট কি জিনিস । আমি এতদিন কতটা কষ্ট করেছি । তুমি যখন অন্য সবার সাথে হাসি মুখে কথা বলতে চলতে তখন শুধু আমার সাথে কথা বলতে না আমার কেমন লগতো তখন
সেহেলী আমায় ক্ষমা করে দেও আমি তোমাকে আর কোনোদিন কষ্ট দিবোনা । সব সময় ভালোবাসবো । শুধু আমাকে এভাবে কষ্ট দিও না । একই রুমে থাকছি তবুও কেউ কারো সাথে ঠিক ভাবে কথা বলতে পারছি না । ভালোবাসার মানুষটির অবহেলাটা যে কি কষ্টের আমি আজ বুঝতেছি, তুমি শুধু একটি বার তোমাকে ভালোবাসার অধিকার টুকু দাও
আমি : ঠিক আছে .আমাকে প্রচুর ভালোবাসতে হবে । আর কোন দিন আমায় কষ্ট দিবেনা বলো ।
সেহেলী: তোমায় আর কষ্ট দেবো না শুধু আমায় ভালোবাসা দিও
আমি: ঠিক আছে তাহলে আমাকে এখন জড়িয়ে ধরে কিস কর ।
সেহেলী : পারবো না আমি । আমার লজ্জা লাগে বুঝি ।
তখন আমি বল্লাম ঠিক আছে থাকো আমি গেলাম তাহলে
সেহেলী : ঠিক আছে , এই বলেই আমায় জড়িয়ে ধরে কিস করতে লাগলো । আমি আবার কম কিসের আমি জড়িয়ে ধরে কিস করতে লাগলাম

.....এর পর থেকে আমরা খুব শুখেই দিন কাটাচ্ছি। কেও কাওকে ছাড়াই যেন এক মুহুত্বও থাকতে পরিনা।আমাদের ভালোবাসার কোন কম্তিই আর নেই.........

বি দ্র : আপনারা আবার ভাইবেন না যে আমি আমার বাসর রাএের গল্প বলছি । আমার এখনো বিয়ের বয়স হয়নি , আমি কেবল দশম শ্রেনীর একজন ছাএ ।

গল্পটা কেমন হলো বলবেন ।নতুন লেখক তো কোনো ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন.........

লেখক : 

রেদুয়ান হাসান