আমি আর বাধন - Hridom

  

সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি হচ্ছে।
বৃষ্টিতে ভিজ্ছি,আমি আর বাধন।
একটু ঠান্ডা লাগলেও জানুর
সাথে বৃষ্টি তে ভিজার মজাই
আলাদা।
বাধনের সাথে আমার পরিচয় ২০১১
সালে।নতুন কলেজে উঠেছি।
কলেজে ফার্স্ট ক্লাস।হঠাৎ
করে চোখ পরে আমার পাসের
বেঙ্চের উপর।নিজের
চোখকে বিশ্বাষ
করতে পারছিলাম
না যে এতোসুন্দর
মেয়ে কোথাথেকে আসলো এখানে।
ক্লাস শেষে আমি মেয়ে টার
কাছে যাই,মেয়েটার
সাথে কথা বলতে চাচ্ছিলাম,কিন্ত


সাহস পাচ্ছিলাম না।সেদিন আর
কথা বলা হলো না।বাসায়
ফিরে আসি।রাতে বাধন কে সপ্ন
দেখি।
তারমানে প্রেমে পরে গেছি।
যে ভাবেই হোক বাধন কে অফার
করতে হবে কালকে,মনে মনে ভেবে নিলাম।
কিন্তু সে গুড়ে বালি।
কলেজে গিয়ে শুনি অলরেডি তার
পিছনে লাইন আছে।
মনে মনে ভাবলাম এতো লোকের
ভিতর বাধন তার সত্যি কারের
ভালবাসা খুজে নিতে পারবে না।
তাই আর বলা হলো না।কিন্তু
কিছুদিন পর বাধনের সাথে আমার
বন্ধুত্ব গড়ে উঠে।লেখাপড়ার
কথা ছাড়া আমাদের মাঝে অন্য
কনো কথা হত না।কিন্তু আমি আর
সহ্য করতে পারছিলাম না।একদিন
সকালে আমি বাধন কে ফোন দেই।
-হ্যালো
-হ্যা,বাধন তুই কই?
-বাসায়,ক্যানো কি ব্যাপার?
-তুই একটু কফিহাউজে আয়।
-আমি তো একটু ব্যাস্তো....ওকে
আসছি।
আজ ণীল একটা শারি পরেছে ও।খুব
দারুন লাগছে ওকে।
-কি জন্য
এতো জরুরি তলব,বলতো এবার,প্রেমে পরেছিস
নাকি?
-হুমম।
-মেয়েটা কে?
আমি কিছু সময় চুপ
করে থেকে উত্তের টা দিলাম।
উত্তর টা শুনে ও আমার মুখের দিক
চেয়ে বলতে লাগলো
-তোর মত একটা আনস্মার্ট ছেলের
সাথে আমি।অসম্ভব।তুই
ভালো করে জানিস
সৌরভ,আমি আলিফ
কে ভালবাসি।তোর চেয়ে স্মার্ট
সে।so তুই পথ মাপতে পারিস
এখন,আর শোন আমাকে কোনো সময়
আর ফোন দিবি না।
আমি ওর কথাগুলো শুনে থ
মেরে গেলাম।নিজের কান
কে বিশ্বাষ করতে পারছিলাম
না।ওকে কিছু না বলেই
আমি চলে আসলাম।কিছুদিন পর
আমার রেজাল্ট আউট হয়।
ঢাকা এসে ভার্সিটিতে এডমিশন
নেই।কিছুদিন পর আলিফের
সাথে দেখা হয় হাতিরঝিলে।ওর
মুখে শুনি যে ওদের ব্রেকআপের
কথা।
হঠাৎ আম্মি অসুস্থ হয়ে পরায় আমার
মোল্লাহাট ফিরে আসতে হয়।
সে দিন সেই
কফিহাউজে বসে ফ্রেন্ড দের
সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম।হঠাৎ
একটা ফোন আসে।ফোনটা রিসিভ
করতেই আমার বুকটা কেপে উঠলো।
-হ্যালো,সৌরভ একটু সময় হবে তোর
কাছে?
আমার গলাটা কাপছিলো
-বাধন তুই এতোদিন পর....
-একটু ভিতরে আয়।
আমি দেরি না করে কফি হাউজের
ভিতরে গেলাম,
দেখলাম বাধন বসে আছে সেই
ণীল শাড়ী পড়ে।আমি গিয়ে ওর
সামনে বসতেই ও বলতে লাগলো..
-আমি তোকে অনেক কষ্ট
দিয়েছি না?
আমি ওর মুখের
দিকে চেয়ে বল্লাম
-হঠাৎ এমন এমোন মনে হলো কেন
তোর?
-এ জীবনে চলতে চলতে আমি পথ
হারিয়ে ফেলেছি,আমাকে তুই
পথ টা চিনিয়ে দিবি?
আমি ওর মুখের দিকে চেয়ে আছি।
দেখলাম একফোটা অশ্রু ওর চোখের
কোণ বেয়ে ঝড়ে পরলো।মানুষ
মিথ্যা বল্লেও চোখের
পানি কোনদিন মিথ্যা বলেনা।
আমি ওর হাতটা ধরে বল্লাম
-
আমি আগে তোরি ছিলাম,এখোনো তোর
আছি,আর যতদিন বাচবো শুধুই তুই
থাকবি আমার জীবনে।
ও আমাকে বললো
-অনেক স্মার্ট হয়ে গেছিস
দেখি!"
-তোর জন্য।
তারপর তো সবাই জানেন।
দোয়া করবেন আমাদের জন্য।

কোন মন্তব্য নেই