প্রথম ইউনিভার্সিটি - Hridom

দুইতরী
জীবনের
হিসেবগুলো বড্ড
মিলাতে কষ্ট
হচ্ছে মিরার। বিছানার
উপর
শুয়ে সামনে একটা বই ,বই
এর পাতা উল্টাচ্ছে বাট
পড়ছে জীবনের স্মৃতির
পাতা ।
যখন প্রথম
ইউনিভার্সিটি ভর্তি হয়
।প্রথম ক্লাসে প্রচন্ড
ভয়ে ভেয়ে ছিলো মিরা ।
ক্লাস রুম
থেকে বেরুতে গিয়ে হঠাত্
করে সেন্ডেলের
ফিতা ছিরে পরে যাই ,সবাই
হাসছিলো বাট
একটা মমতামাখা বন্ধুত্বের
হাতের উপর নির্ভর
করে দাড়িয়েছিলো সে ।
ছেলেটির নাম লিমন ।
এর পর থেকে মিরার
সীট ,নোট আর সবকিছু
সংগ্রহ করতো লিমন ।
ভালোই চলছে বন্ধুত্ব ।
প্রতিদিন
একসাসে ক্যানটিনে খাওয়া ,রিক্সায়
ঘোরাঘুরি আর
খুটিনাটি বিষয়
নিয়ে ঝগড়া ।
হঠাত্ করে আবির্ভাব হয়
একটা ছেলের নাম
রিয়ান ।এই
ছেলেটা হঠাত্
নেমে আসা বৃষ্টি থেকে মিরাকে রক্ষা করার
জন্য
নিজে ভিজে ছাতাটা এগিয়ে দিলো বলল
মেয়ে মানুষ
ভিজে গেলে প্রবলেম ।
তারপর ছাতা ফেরত
দেওয়া ,রোজ রোজ
একসাথে ভার্সিটি যাবার
জন্য পরিচিত মোড়টাই
অপেক্ষা করা ,পেনড্রাইভে নুতুন
মুভি দেওয়া আর
সারাদিনে পাঁচবার
ফোনে পেত্নি বলে ডাকা ।
হঠাত্ করে লিমন কেন
যে আমায় প্রপোস করলো ।
আমাকে ছারা ও
নাকি থাকতে পারবে না ।
আসলে এটা ওর ভুলই
ছিলো আসলে আমি রিয়ানের
সাথে মিশেছি তাই ও
আমায় প্রপোজ
করছে হিংসায় ।কিন্তু ও
এটা নিয়ে খুব বেশিই
বারাবারি করছে ।
হঠাত্ করে রিয়ানের
ফোন এলোঃ
রিঃ হ্যালো পেত্নি একি শুনছি লিমনের
প্রেমে নাকি তুই হাবুডুবু
খাচ্ছিস ।
|
মিরাঃ শোন ,লিমন
একটা পঁচা ছেলে ও
বন্ধুত্বের সম্মান
রাখতে জানে না তুই ও
ওর সাথে কথা বলবিনা ।
|
রিয়ানঃ ওকে পেত্নি ।
|
মিরাঃ মুখ
ভেঙ্চিয়ে যাহ দৈত্য ।
এভাবে চলতে থাকে মিরা আর
রিয়ানের বন্ধুত্ব ।বেশ
অনেকদিন ।
এরি মাঝে মিরার
চোখের কোনে কোন
ব্রান্ডের কাজল ,চুলের
কয়টা ব্যান্ট
আছে ,মিরা কোন
ড্রেসের সাথে কোন
জুতা - কানের দুল
পরে সব মুখুস্ত রিয়ানের
।
এইতো সেদিন ওর
হাতঘড়িটা নষ্ট
হলো রিয়ান
সারিয়ে আনলো তারপর
সেদিন ওর
বাসা থেকে বকাঝকা করছে সারারাত
রিয়ানের কাছে কল
দিয়ে কেঁদে কেঁদে কথা বললো ।
হঠাত্ করে রিয়ানের কল
এলো এই পেত্নি এখন
কিন্তু প্রচন্ড মশার
উপদ্রপ
মশারি টাঙ্গিয়ে ঘুমাস
আর রাতে যেন ক্রীম
ডলতে ভুলিস না ।
মিরাঃ দোয়া করি ,তোর
একটা ব নিগ্রোদের মত
বউ হই। তখন বুঝবি !
হঠাত্ করে একদিন
মিরা লিমনের
সাথে কথা বলে একটা নোটস
এর বিষয়ে ,রিয়ান
সেটা দেখে খুব কষ্ট
পায় ।
হঠাত্ রিয়ান
মিরাকে প্রোপজ
করে কারন
সে মিরাকে হারালে বাঁচবে না ।
খুব
ভালোবেসেফেলেছে মিরাকে ।
মিরাঃ দেখ রিয়ান
আমি তোকে বন্ধু
ভাবি আর তুই ও লিমনের
মত ...
আমি এটা এক্সপেক্ট
করি নাই ।আমার
সাথে আর তুই যোগাযোঘ
রাখিস না ।
এখন মিরা রোজ
একাএকা ভার্সিটি যাই
চুপচাপ বসে থাকে বাট
নিজের
ইগোটাকে ধরে রাখার
জন্য
একবারো রিয়ানকে ডাকে না ।
এই একাকিত্বের সুযোগ
নেই লিমন ।আবার সেই
হেল্প সেই রিক্সায়
ঘোরা ।কিন্তু এর
মাঝে কোথায়
যেনো একটা অপূর্নতা থেকে যাই
মিরার।
আসলে মিরা লিমনের
প্রতি এক ধরনের
মানুষিক
প্রতিশ্রুতিতে বদ্ধ ।
যেখানে ভালোলাগা নেই
তবে কিছুটা দ্বায়িক্ত
আছে ,সামান্যতম
ভালোবাসা আছে তবে আকাশ
সমান নিজের
আত্নঅহমিকা আছে ।
রিয়ানকে বিভিন্ন
কারনে ভূল
বোঝে এদানিং মিরা ,যেমন
ভেঙ্গে যাওয়া চুলের
ব্যান্ট টা তুলে রাখার
অভিযোগে ,মোবাইলের
ওয়ালপেপারে ওর ইমেজ
রাখার
অভিযোগে ইত্যাদি ইত্যাদি ।
মিরা বুঝতে পারে যে ও
রিয়ানকেই
ভালোবাসে কিন্তু ও এখন
লিমনের কাছ
থেকে ফিরে যাবার
কি উপায় আছে ?আর
রিয়ানের এই কষ্ট ও
মেনে নিতে পারছে না ।
এ কেমন দোটানা ?
মিরা আজ
কাঁদছে খুব ,নিজের
জেঁদের কাছে নিজের
ভালোলাগার
কাছে হেরে যেয়ে ।
নিজেকে দোষি দেখে ।
রিয়ান গোপন সূত্রে সব
জানতে পারে ।কিন্তু
রিয়ান কিভাবে মিরার
কাছে যাবে ,না মিরার
এই
দোটানা থেকে মুক্তি দেবার
জন্য নিজেই সরে যাবে ?
বুঝে উঠতে পারে না ।
আরে নাহ আপন
ভালো পাগলেও বোঝে ।
লিমন আর মিরা এখন
পার্কে
___এই পেত্নি তুই কি তোর
ঐ ঠোটের এই
লিপ্স্টিকটা নুতুন
নিয়েছিস ।
মিরাঃ মাসখানেক
আগে ,কেন ? এত প্রশ্ন
কেন তোর ?
রিঃ না মানে খুব
ইচ্ছে হচ্ছে ?
মিরাঃ চোখ
রাঙ্গিয়ে কি ?
রিঃ মানে ঐটা প্লিজ!
মিরাঃ তোর এই
অপরাধে ,টানা তিনদিন
হরতাল কথা না বলার ।
রিঃ না না ,যদি হরতাল
দিস আমি এখনি পার্ক
থেকে চলে যাব ।
মিরাঃ তুই যাস
না ,আমি রাজি ।
তবে লিপ্স্টিক
উঠে গেলে তখন ?
ব্যাগে তো আর লিপ্স্টিক
টেনে আনি নি ।
রিঃ কিছুক্ষন
পর ,আসলে লিপ্স্টিক
বাদেই
তোকে ভালো দেখাচ্ছে ।
এরপর থেকে লিপ্স্টিক
ব্যাবহার করা বাদ দে ।
কারন এর
পার্শপ্রতিক্রিয়নাই
আমার প্রবলেম
হতে পারে ।
মিরাঃ (লজ্জা পেয়ে)
তাতে আমার কি ? তোর
প্রবলেম ।এখন
থেকে সস্তাটা লাগাবো যাতে বেশি পার্শপ্রতিক্রিয়
ার
ভয়ে তোর বায়না কমে ।
রিঃ প্রবলেম নেই আমার
ঘাম মোছা রুমাল
আছে না ?
................................
আর হে লিমনকে যে মিরা ভালোবাসেনা সেটা মিরাই
বলেছিলো মেসেজে ।
লিমন প্রথমে যদিও একটু
কেঁদেছিলো এখন ঠিক
হয়ে গেছে কারন
দুইজনের জীবনের
চেয়ে ,একজন এর
কিছুটা কষ্ট ,উত্তম নয়
কি ?
Post a Comment