ছোট্ট চায়ের দোকান - Hridom

রবিন বসে আছে ছোট্ট চায়ের
দোকানের সামনে।রহমান চাচার
চায়ের দোকান।অনেক
ভালো চা বানায় রহমান চাচা।
তাই প্রতিদিন একবার হলেও
এখানে আসে রবিন।
রাস্তার বিপরীত পাশে রংপুর
গার্লস স্কুল।এই স্কুলে পড়ে রুহি।
এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী রুহি।
রবিন অবশ্য এইচএসসি ১ম বর্ষে পড়ে।
রুহিকে অনেক
ভালোবাসে রবিন।কিন্ত
কোনদিন বলা তো দূরের
কথা,রুহির সামনেও
যেতে পারে নি সে।শুধু চায়ের
দোকানে বসে দূর
থেকে দেখে যায় ও!
রুহি অবশ্য ব্যাপারটা লক্ষ করেছে।
কিন্তু এগুলোতে মন দেয় না সে।
রবিনকে দেখলে আড়ালে চলে যায়
দ্রুত।তখন নিজেকে খুবই
বোকা মনে হয় রবিনের।
আজ তারাতারি চায়ের
দোকানে এসেছে রবিন।মনের
কথা রুহিকে বলবে বলে পূর্ণ
প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে ও।
হাতে একগুচ্ছ লাল গোলাপ
নিয়ে অপেক্ষা করছে রবিন।
ছুটির ঘন্টা বাজতেই সবাই বের
হতে লাগল।একটু পরেই
রুহি এসে দারালো রাস্তায়।
বুকে সাহস সঞ্চয়
করে ধীরপায়ে গিয়ে সামনে দারালো রবিন।
বলল,একটা বলব তোমায়,একটু শুনবে?
রুহি চোখ বড় করে তাকাল রবিন এর
দিকে।ফুলগুলো বাড়িয়ে দিল
রবিন।হাটু গেরে বসে পড়ল
সামনে।কিন্তু কিছু বলার
আগে কে যেন টাস করে একটা চর
বসিয়ে দিল রবিনের গালে।রবিন
দেখতে পেল,চলে যাচ্ছে রুহি।আর
সামনে পড়ে আছে কয়েকটা লাল
গোলাপ।
অনেক কষ্টে উঠে দারায় রবিন।
ফিরে আসে....
রহমান চাচা এখনো চা বানায়।
কিন্তু রবিন এখন আর আসে না।
হয়তো আর কখনো আসবে না রবিন।
কয়েকদিন
থেকে রুহি দেখতে পায়
না রবিনকে।মনে মনে খোঁজে ও।
কিন্তু রবিন হারিয়ে যায় যেন
হঠাৎ করেই।আর
এসে অপেক্ষা করে না স্কুলের
সামনে।
শুধু রাস্তায় পিষ্ট হয় কয়েকটা লাল
গোলাপ।আর
বাতাসে ভাসে একটা চরের শব্দ।
টাস
Post a Comment